কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র দু-দেশে আড়াই মাসের সফর শেষে গেল ১৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ববিতা। ঢাকায় ফিরে ববিতার মন ছিল বিষণ্ণ। কিছুটা ফুরফুরে মেজাজ ফিরে পেতে শনিবার রাতে চলচ্চিত্রের ঘনিষ্ঠ গুটিকয়েক মানুষদের গুলশানের বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই নায়িকা।
ববিতার ডাকে তার বাসায় ছুটে গিয়েছিলেন ছয় তারকা। ছিলেন চম্পা, ফেরদৌস, আমিন খান, বাপ্পারাজ, পপি ও পূর্ণিমা। সাত তারকা মিলে মন খুলে জমপেশ আড্ডা দিয়েছিলেন মধ্যরাত পর্যন্ত। ফাঁকে সেরেছেন নৈশভোজ। ববিতা নিজ হাতে কয়েক পদের সুস্বাদু খাবার রেঁধে খাইয়েছেন তাদের। একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজকে এমনটাই জানাচ্ছিলেন চিত্রনায়ক আমিন খান।
রবিবার বিকেলে আমিন খান বলেন, অনেকদিন পর আমরা একত্রিত হয়েছিলাম। নানান গল্প, আড্ডায় অদ্ভুতভাবে সময় কেটে গেছে, টেরই পাইনি। তবে আমরা ফিল্মি আলাপ করিনি। আপা যখন ডেকেছিলেন, আগেই বলেছিলেন চলচ্চিত্র নয়, নিজের সুখদুঃখের কথা ভাগাভাগির আলাপ হবে। কথা প্রসঙ্গে ববিতা ম্যাডাম জানতে চেয়েছিল কে কি কাজ করছি। সার্বিকভাবে এই হঠাৎ আয়োজনে ববিতা আপাকে সহযোগিতা করেছেন চম্পা আপা।
আমিন খান আরো বলেন, আমরা যখন নিয়মিত কাজ করতাম তখন এমন আড্ডা প্রায়শ কারো না কারো বাসায় হতো। এখন তো এগুলো উঠে গেছে। তিনি বলেন, এ ধরণের আড্ডার দরকার আছে। এতে করে কাজের বাইরে শিল্পী কাছাকাছি যেতে পারেন। নিজেদের মধ্যে বন্ডিং দৃঢ় হয়। তার মধ্য লিজেন্ড অভিনেত্রীর পাশে যাওয়া, বসে তার কাছ থেকে দু-চার কথার উপদেশ পাওয়া চলার পথের শুভ কামনা হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া ববিতা আপা আমাদের সবাইকে ভীষণ স্নেহ করেন। নিজের সন্তানের মত যত্ন করেছেন।
ববিতার একমাত্র সন্তান অনিক কানাডায় লেখাপড়া করেছেন। সেজন্য কয়েকমাস পরপর ছেলেকে দেখতে কানাডা যান ববিতা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহসাই দেশ ছাড়ছেন না ববিতা। কয়েকমাস তিনি দেশে থাকবেন।